তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংক শেয়ারবাজারে বন্ড ছেড়ে ১২০০ কোটি টাকা তুলবে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা ব্যাংকই ৬০০ কোটি টাকা তুলতে চায়।
ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে চতুর্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এ বন্ড ইস্যু করে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি।
বন্ড ইস্যুর অর্থ দিয়ে ব্যাংকের টিয়ার-২ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চাইবে ব্যাংকটি।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে জন্য মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
এছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৭৩তম সভায় প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ৩০০ কোটি টাকা ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির ৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রাইম ব্যাংকের বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, ফুল রিডিমবল অর্থাৎ মেয়াদ শেষে এই বন্ডের সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। বন্ডটি হবে নন-কনভার্টিবল। অর্থাৎ এই বন্ডের কোনো অংশ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে না। আলোচিত বন্ডটি হবে কুপনযুক্ত। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর পর বন্ডধারীকে প্রাপ্য সুদ পরিশোধ করা হবে। আর এর সুদের হার হবে ভাসমান। এই হার হবে ৬ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।
বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই বন্ড বরাদ্দ করা হবে। বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা ব্যাংকটি তার টায়ার-২ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে।
আলোচিত বন্ডের ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করছে ইউসিবি ইনভেস্টেমন্ট লিমিটেড। আর এর অ্যারেঞ্জারের দায়িত্বে থাকবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
আর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র (ইউসিবি) ৩০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে কুপনযুক্ত। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর পর বন্ডধারীকে প্রাপ্য সুদ পরিশোধ করা হবে। আর এর সুদের হার হবে ভাসমান। এই হার হবে ৬ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।
প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকার ইউনিট বরাদ্দ করা হবে। আর ৩০ কোটি টাকার ইউনিট বরাদ্দ করা হবে আইপিওর মাধ্যমে। বন্ডটিরে প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা।
বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা ব্যাংকটি তার টায়ার-১ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডের ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর এর আন্ডারাইটারের দায়িত্বে থাকবে সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।