
পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের জন্য বিনিয়োগ সীমা পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হতে অন্তত ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরদের সর্বনিম্ন বিনিয়োগ সীমা ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর বিনিয়োগ সীমা কমানোর জন্য হাইকোর্টে রিট করা হয়। কিন্তু রিট খারিজ করে ৩০ লাখ টাকার নির্দেশনাকে বৈধতা দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে এখন থেকে এই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনযোগ্য হতে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকার কথা জানিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল ডিএসই সব ট্রেকহোল্ডারদেরকে গত ৩০ মার্চ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ থাকা বিনিয়োগকারীদের তথ্য আগামি ১০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে বলে। যারা পরবর্তী ৩ মাস এসএমইতে লেনদেনের যোগ্য হবে।
এসএমইতে লেনদেনের যোগ্য করতে বিনিয়োগকারীদেরকে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের ভিত্তিতে প্রতি প্রান্তিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনা খরচে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এজন্য প্রতি প্রান্তিকে সিডিবিএল বা ডিপি বিনিয়োগকারীর বিস্তারিত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেবে।
এর আগে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হওয়ার জন্য শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ২০ লাখ টাকায় বিনিয়োগ নামিয়ে আনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।