শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের দুই কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তারা কোম্পানি দুটির কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে কার্যক্রম বন্ধ দেখতে পান। কোম্পানি দুই হলো ফ্যামিলিটেক্স (বিডি) লিমিটেড ও বিবিধ খাতের উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
সিকিউরিটিজ আইনানুসারে কারখানা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সে তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও স্টক এক্সচেঞ্জকে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানায়নি ফ্যামিলিটেক্স ও উসমানিয়া গ্লাস।
সম্প্রতি তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির সার্বিক অবস্থা পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসই। এরই ধারাবাহিকতায় কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করছেন। এরই মধ্যে ডিএসইর কর্মকর্তারা নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, দুলামিয়া কটন মিলস ও রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের কারখানা পরিদর্শনে গিয়েও বন্ধ পেয়েছেন।
তথ্যানুসারে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফ্যামিলিটেক্স। এর পরের দুই হিসাব বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক তথ্য ও ২০২২-২৩ হিসাব বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি। ফলে কোম্পানিটির প্রকৃত আর্থিক ও ব্যবসায়িক তথ্য জানতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ফ্যামিলিটেক্স।
এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) উসমানিয়া গ্লাসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস হয়েছে ৮০ টাকা ১৫ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস হয়েছে ৮৩ টাকা ১৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮৫ টাকা ৮২ পয়সা। কোম্পানিটি ২০১৭-২০১৮ হিসাব বছরের পর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।