দীর্ঘ ১০ মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে ৩৫টি ছাড়া বাকিগুলোর ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশটি কার্যকর হবে ২১ জানুয়ারি থেকে।
আদেশে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই কমিশনের জারি করা আদেশ অনুসারে ফ্লোর প্রাইস ও অন্যান্য শর্তগুলো শুধুমাত্র ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়া শেয়ার দরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা সংক্রান্ত ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর জারি করা কমিশনের আদেশ ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে বলে আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
যে ৩৫টি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে সেগুলো হলো:- বেক্সিমকো, বিএটিবিসি, বিএসসিসিএল, রেনাটা, রবি আজিয়াটা, গ্রামীণফোন, বারাকা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টীল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স এগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস এক্সেসরিজ, কেপিসিএল, কাট্রালি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিম, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, শাইন পুকুর সিরামিকস, শাহজীবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
উল্লেখ্য, কভিড সংক্রমণের প্রভাবে পুঁজিবাজারে দরপতন তীব্র হয়ে উঠলে তা ঠেকাতে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১৭ জুন ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা শুরু হলে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়। এর পাঁচ মাসের মাথায় ১৬৯টি কোম্পানির ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। যদিও এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমতে শুরু করলে দুই মাস পরই গত বছরের ১ মার্চ আবারো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।