সর্বজনীন পেনশনের টাকা কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাবে তা উল্লেখ করে সর্বজনীন পেনশন তহবিল (বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ) বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আট সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এ কমিটি তহবিলের অর্থ কম ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক লাভজনক পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করবে। তহবিলের কোনো অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই দেশের বাইরে বিনিয়োগ করা যাবে না। সর্বজনীন পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটিই মূলত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিনিয়োগের তথ্য সময়-সময় পরিচালনা পর্ষদকে জানাবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, ট্রেজারি বন্ড, ট্রেজারি বিল এবং সুকুক বা সুকুকের মতো অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটিজ হবে তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের প্রধান ক্ষেত্র। আর পেনশনের অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা যাবে দীর্ঘ মেয়াদে ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’ মান পেয়েছে এমন কোনো তফসিলি ব্যাংকে। তবে এই মান মূল্যায়ন হতে হবে বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো ঋণমান সংস্থা বা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থার মাধ্যমে। একাধিক মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা একই প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন রেটিং (মান) দিলে নিম্নতম মানকে প্রকৃত মান হিসেবে গণ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত বা নিয়ন্ত্রিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার কথাও বলা হয়েছে বিধিমালায়। এ ছাড়া সরকার বা সরকারি কোনো সংস্থার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নাধীন বা বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্প বা প্রকল্পের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কোনো অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। আবার একক কোনো খাতে পেনশনের অর্থের ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। তবে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।