বৃদ্ধা মায়ের ব্যবহারের জন্য কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন ফেনী সদরের ধুমসাদ্দা গ্রামের মোহাম্মদ সবুজ মিয়া। ওই ফ্রিজেই চা বিক্রেতা সবুজ মিয়ার ভাগ্য বদলে গেলো। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে চলমান ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৫ এর আওতায় ফ্রিজটি কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। ওয়ালটন থেকে পাওয়া ওই টাকার কিছুটা ব্যবসার কাজে খাটাবেন, বাকি টাকা দিয়ে মায়ের জন্য গ্রামে একটি বাড়ি বানাবেন সবুজ মিয়া।
এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছেন গাজীপুর সদরের কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার পোশাককর্মী পারভিন আকতার। এছাড়া অসংখ্য ক্রেতা বিভিন্ন অংকের কোটি কোটি টাকা এবং ফ্রি পণ্য পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ কার্যক্রমে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান ক্রয়ে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক এবং কোটি কোটি টাকার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে সবুজ মিয়ার হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ কে বি এম জাহাঙ্গীর আলম, ফেনী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ফারুক ভূইয়া বেলাল, ওয়ার্ড কমিশনার খালেদ খান ও হারুন অর রশীদ মজুমদার, ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনিরুল হক মনা, এডিশনাল ডিরেক্টর মিরাজুল হক, ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম মেসার্স ফারুক এজেন্সির মালিক মো. আব্বাস ফারুক ভুইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এমদাদুল হক সরকার বলেন, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ কার্যক্রমের আওতায় ক্রেতাদের নানান সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কোটি কোটি ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায় ওয়ালটন আজ বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে প্রতিনিধিত্ব করছে।
জানা গেছে, ফেনী সদরের কাজীরবাগ এলাকায় ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালান সবুজ মিয়া। সেই আয়েই চলে ৬ সদস্যের সংসার। এদিকে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধা মা থাকেন। তার সুবিধার জন্য ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তিতে মেসার্স ফারুক এজেন্সি থেকে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন সবুজ মিয়া। ফ্রিজ কেনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।
ওয়ালটন জানায়, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য তাদের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।