দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার দেশকে দেড় বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় এনে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভ্যান্সড রিসার্স ইন আর্টস অ্যান্ড সোশাল সাইন্স (কারাস) মিলনায়তনে শুক্রবার নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের শক্তি আর তারুণ্যের মেধাকে একত্রিত করে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি আগামী অর্থবছরে ঢাবির সব হলে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেয়া হবে বলে জানান। এসব উপহারের মাধ্যমে ঢাবির শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট থাকলেই ঘরে বসে ডলার আয় করা যায়। এজন্য প্রতিবছর আমি ছাত্রকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ন্যূনতম অস্বচ্ছল মেধাবী সাতজনকে একটি করে ল্যাপটপ ও দুজন শিক্ষার্থীকে ২৪ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দেবো।
পলক বলেন, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। যেখানে ২০১০ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬ লাখ। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছেন। এটাই হলো শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটের কল্যাণে সরকারের কাজে কেউ অসন্তুষ্ট হলে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পারেন। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ৬৪ জেলায় তিন মাসের সার্টিফেকেট কোর্সসহ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। ১১শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৯৬টি উপজেলা ও জেলাসদরসহ ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সেন্টার করা হচ্ছে।
