যানজট থেকে মুক্তি পেতে ঢাকাবাসীর অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে নগরবাসীর। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন। এদিন রাজধানীর উত্তরায় উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রোরেল চালু হতে চললেও অনেকে এখনো জানেন না কিভাবে এর টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
বহুল প্রতিক্ষীত মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য থাকছে দুই ধরনের টিকিট বা কার্ড। স্থায়ী টিকিট এবং এক যাত্রার টিকিট। শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই টিকিট কিনতে হবে। পরে পর্যায়ক্রমে কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
যারা ১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী টিকিট কার্ড কিনতে চান তাদের প্রথমে ২০০ টাকা দিয়ে এই কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এই কার্ড দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জও করা যাবে।
আর এই স্থায়ী কার্ড পেতে যাত্রীকে নিবন্ধন করতে হবে। উদ্বোধনের পরদিন আগামী বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের লিংক দেয়া হবে। এদিন থেকে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন করতে নিজের নাম, মাতা–পিতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি লাগবে। এরপর এই কার্ড সংগ্রহ করে মেট্রোরেলে ভ্রমন করা যাবে।
আর এক যাত্রার কার্ডের জন্য লাগবেনা কোনো নিবন্ধনের। স্টেশন থেকে এই কার্ড কিনে যাত্রা করা যাবে। ট্রেন থেকে নামার সময় কার্ড জমা দিতে হবে। স্টেশনের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে বিক্রয়কর্মীর সহায়তায় কার্ড কেনা যাবে। এ ছাড়া ভেন্ডিং মেশিন থেকে যাত্রীরা নিজেরাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
শুরুতে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট কাটা যাবে। এই পথের ভাড়া ৬০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। এরপর প্রতি দুই স্টেশন পর ১০ টাকা ভাড়া যোগ হবে।
যাত্রার শুরুতে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলার সময় ট্রেন মাঝপথে কোথাও থামবে না। পৌনে ১২ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল সেবা।