ঢাকা     ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  ৩ কার্তিক ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ৪ জুন ২০২৩

আপডেট: ১৬:১৫, ৬ জুন ২০২৩

প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সুপারিশ বা প্রস্তাবের আশানুরূপ প্রতিফলন ঘটেনি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস মিলনায়তনে কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস),  অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এ প্রতিক্রিয়া জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত থেকে নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বাজেট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।   

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, সরকার প্রায় ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। যা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট। প্রতিবারের মতো এবারের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক বা উল্লেখযোগ্য কোনো সুখবর নেই। সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক প্রস্তাব দেওয়ার পরও এ খাতের কর্পোরেট ট্যাক্স অব্যাহতির সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো, সফটওয়্যার ও আইটিইএসের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, সফটওয়্যার ও আইটি পরিষেবা রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করা এবং সর্বোপরি দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে সফটওয়্যার ক্রেতাকে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেছিলাম। অথচ এগুলোর কোনোটাই বিবেচনায় আনা হয়নি।

অপরদিকে, অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ ও সিকিউরিটি সফটওয়্যারের আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং সফটওয়্যারের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।  

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা তুলনামূলক কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে বিপিও পরিষেবা পেয়ে থাকেন। তাই বাংলাদেশ বর্তমানে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তির শিল্পের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। কনট্যাক্ট সেন্টারের অনেক সফটওয়্যার এখনো দেশে তৈরি হচ্ছে না, যা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ- সিকিউরিটি সফটওয়্যার এবং অন্যান্য সফটওয়্যার আমদানিতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এই শিল্পের সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন,  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সকল সেবাকে আইটিইএসের অন্তর্ভুক্তি না করা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবহৃত সামগ্রীর উপর শুল্ক না কমায় এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ১০ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার না করা, ইন্টারনেট সেবার প্রসার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে।