মোবাইল ইন্টারনেটের গতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারত বা পাকিস্তান নয় আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশ ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়া থেকেও খারাপ অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরগুলির গড় ইন্টারনেট গতি সবচেয়ে কম।
দক্ষিণ এশিয়ায় কেবলমাত্র আফগানিস্তানেরই বাংলাদেশের চেয়ে ধীর ইন্টারনেট রয়েছে। স্পিডটেস্ট-এর গ্লোবাল ইনডেক্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মোট ১৪০টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬তম। যা গত বছরের চাইতে এক ধাপ পিছিয়েছে।
অনলাইন ইন্টারনেটের গতি ট্র্যাক করা স্পিডেস্ট তার বৈশ্বিক সূচকে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটররা দাবি করছেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে ফোরজি স্পিড ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করে আসছে। এমন কি তারা শিগগিরই ৫জি পরিষেবা প্রদান করবে যা ইন্টারনেটে সর্বশেষ প্রযুক্তি।
যদিও একটি বৃহত মোবাইল পরিষেবা সরবরাহকারীর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাদের ইন্টারনেটের গতি কম বলে অস্বীকার করেছেন। তিনি এ বিষয়ে অফিসিয়াল বিবৃতি দিতে অস্বীকার করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর যে পরিমাণ গ্রাহক রয়েছে, সে হিসেবে তাদের স্পেকট্রাম বা বেতার তরঙ্গ ব্যবহারের পরিমাণ কম। তাই সরকার এখন ব্রডব্যান্ডকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে নতুন তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য ৮ মার্চ নিলামের আয়োজন করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, নিলাম থেকে অপারেটররা প্রয়োজনীয় তরঙ্গ কেনার পরের মাস থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা আরো উন্নত হবে বলে তারা আশা করছেন।