তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশীয় সফটওয়্যারের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত হলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির।
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশীয় সফটওয়্যারের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০২৪-২০২৬)।
সোমবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথবাক্য পাঠ করান বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ তৌহিদ। অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও সম্মানিত অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বেসিসের সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম, রফিকুল ইসলাম রাউলি, এ কে এম ফাহিম মাশরুরসহ বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বেসিসের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বেসিসের সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, বেসিসের নবনির্বাচিত পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, দিদারুল আলম, এম আসিফ রহমান, ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক, মীর শাহরুখ ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ রাহুল এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ।
অনুষ্ঠানে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক, ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, উই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বেসিসের সব সদস্যদের ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের জিডিপিতে আমরা আরও বেশি অংশীদারিত্ব রাখতে চাই।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, আইসিটি খাতের কর অব্যাহতির বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করি এই বাজেটে আইসিটি খাতে কর ধার্য হবে না। তিনি বলেন, ‘বাজেটে কর অব্যাহতি বহাল থাকবে। এই বাজেটে একটি প্ল্যান দেওয়া হবে। এই বাজেটে আমরা কর আরোপ করছি না, তবে আগামী ৩ বা ৫ বছর পর করব, এমন একটি প্ল্যান দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি ইতিবাচক। কর ছাড়া সরকার আর কি করতে পারে এই ইন্ড্রাস্ট্রির জন্যে সেই পরিকল্পনা আপনাদের দিতে হবে।