নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট প্রস্তাবনায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি আরো ৫ বছর বাড়ানোর দাবি করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
রোববার (৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস অডিটোরিয়ামে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট (২০২৪-২৫) নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের ‘বাজেট প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাজেট পূর্ববর্তী সময়ে মূল যেই দাবি জানিয়েছিলাম, তা ছিল কর অব্যাহতির সময় সীমা বাড়ানোর জন্যে। এবারের বাজেটে আইসিটি সেক্টরের কর অব্যাহতি আগামী তিন বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। আমাদের দাবি পূরণ হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমাদের দাবি এটি পাঁচ বছর করা হোক।
তথ্যপ্রযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশের নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি সেক্টরকে স্মার্ট হতে হবে এবং এ স্মার্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে চাই। কর অব্যাহতি তিন বছর থেকে পাঁচ বছরে বাড়ানো হবে -- এটা আমি বিশ্বাস করি। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের সকল প্রযুক্তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে সেটাই আমাদের বিশ্বাস। সরকারের কাছে একটু নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন আমাদের।
এ সময় নতুন দাবি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ক্লাউড সার্ভিস এবং ওয়েব হোস্টিং-এর ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারের মাত্র ১০ শতাংশ দেশীয় উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে। নতুন করে একে করের আওতায় আনা হলে তা দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করবে। ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিসেসের স্থানীয় বাজার যেভাবে বাড়তে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে এ দুটি খাতকে কর অব্যাহতির আওতায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।
পাশাপাশি হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা তাদের বর্তমান শুল্কমুক্ত সুবিধা হারিয়ে প্রায় সব ক্যাটাগরির মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্কের মুখোমুখি হতে পারেন। এটি পুনর্বিবেচনা করে হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি।
এসময় আইএসপিবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আইএসপিগুলো শতভাগ দেশী প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তৃতীয় বারেও আইটিইএস-এ অন্তর্ভূক্ত করা হোক। দেশে ব্রডব্যান্ড পেনিট্রশন এখন ১০ শতাংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ ব্স্তবায়নে এই হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।