সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের পেশাদার সাংবাদিকদের নিবন্ধিত সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা।
সভায় দ্বিতীয় বারের মতো নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, কল্যাণ তহবিল কমিটি ঘোষণা এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে কার্যনির্বাহী কমিটি। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্য নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচন কমিশনকে সহায়তায় কার্য নির্বাহী কমিটি থেকে একটি কমিটি গঠনের কথাও জানানো হয়েছে।
সভাপতি নাজনীন নাহারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ ভিশন ২০২১ টাওয়ারের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি ভূঁইয়া মোহাম্মাদ ইনাম লেনিন। সংগঠনের বার্ষিক সব কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।
নির্বাহী কমিটির নিয়মিত মাসিক সভা, বৈঠকের সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত, আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছ্বতা, সদস্যপদ প্রদানে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমকে অংশগ্রহণমূলক করা ছাড়াও দেশে প্রথমবারে মতো ই-বর্জ্য দিবস পালন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও পরিবর্তন-বিষয়ক সংসদীয় আয়োজনে অংশীজন হিসাবে মত প্রকাশের মতো জাতীয় ইস্যুতে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগী হয়ে সদস্যদের জন্য প্রতিবাদ, বন্যাকবলিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়াঁনোসহ সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে নেয়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের কথা জানান তিনি।
সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান আরো বলেন, চলতি কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও তা যথাসাধ্য ক্যাশলেস করার ক্ষেত্রে কমিটি হতে গৃহীত সব পদক্ষেপ গুরুত্বের সঙ্গে সম্পাদন করেছে।
এরপর সাধারণ সদস্যদের সমানে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেন কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম। বক্তব্যে বর্তমান কমিটি আর্থিক লেনদেনে শতকরা ৯০ ভাগ কার্যক্রম ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদন করা; সব ধরনের হিসাব-নিকাশ যথাযথ প্রক্রিয়ায় লিপিবদ্ধ করা এবং আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদি সংরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক আসাদুজ্জামান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইমদাদুল হক ও এনামুল হকসহ সংগঠনদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অংশ নিয়েছেন। তাদের কণ্ঠভোটে উপস্থাপিত আর্থিক প্রতিবেদন, কল্যাণ তহিবল কমিটি ও নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের নাম অনুমোদিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে নাজনীন নাহার বলেন, ২০২২ সালে সদস্য ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং সদস্যদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করা। সেই সাথে সদস্য কল্যাণে কাজ করা। এই দুই বছরে আমরা চেষ্টা করেছি আর্থিক বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে নিয়মতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিকভাবে পরিচালনা করার। সদস্য পদ প্রদান হতে শুরু করে সকল সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি সংবিধানকে এবং কার্যনির্বাহী সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতকে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণে বাৎসরিক এজিএমগুলোর আয়োজন ছিল নিয়মিত। আয়োজনে সদস্যদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।