ঢাকা     ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ||  ১ বৈশাখ ১৪৩২

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ট্রাম্পের শুল্ক থেকে রেহাই পেলো মোবাইল ফোন, কম্পিউটার!

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্পের শুল্ক থেকে রেহাই পেলো মোবাইল ফোন, কম্পিউটার!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিকে সম্পূরক শুল্কের আওতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে,যার বেশিরভাগই আমদানি করা হতো চীন থেকে। এসব পণ্য আমদানিতে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। 

শনিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশি সময়) মার্কিন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তরের নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের ওপর নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হবে না।

কয়েক দিন আগেই চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেন চাপিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা ‘অ্যাপল’-এর আইফোন এবং অন্য পণ্যগুলোর বেশিরভাগই উৎপাদিত হয় চীনে। সে ক্ষেত্রে চীনা পণ্যে চড়া হারে শুল্কের কারণে আমেরিকার বাজারে ‘অ্যাপল’-এর পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে মোবাইল এবং কম্পিউটারকে আমদানি শুল্কের নয়া নীতি থেকে বাদ দিলো ট্রাম্প প্রশাসন। 

সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অ্যাপল’-এর ৮০ শতাংশেরও বেশি পণ্য চীনে তৈরি হয়। ওই মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার প্রায় ৮০ শতাংশ আইপ্যাড তৈরি হয় চীনে। অ্যাপল যত কম্পিউটার তৈরি করে, তার অর্ধেকেরও বেশি তৈরি হয় চীনেই।

ট্রাম্প নিজেও চাইছিলেন যাতে ‘অ্যাপল’ এবং অন্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলো আমেরিকাতেই তাদের পণ্য উৎপাদন করে। চলতি সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিটও সেই আভাস দিয়েছিলেন। 

তিনি জানিয়েছিলেন, আমেরিকার মাটিতে ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘অ্যাপল’। সে ক্ষেত্রে মার্কিন শুল্কের কারণে আমদানির খরচ সামলাতে আমেরিকার মাটিতেই অ্যাপল নিজেদের পণ্য তৈরি করবে বলে আশা করছেন ট্রাম্প।

তবে আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তরের নতুন গাইডলাইন থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, ওই ভাবনাচিন্তা থেকে হয়ত সরে এসেছে মার্কিন প্রশাসন। সম্ভবত সেই কারণেই মোবাইল এবং কম্পিউটারের ওপর শুল্কে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোবাইল, কম্পিউটারের পাশাপাশি সৌর ব্যাটারি, টেলিভিশনের ডিসপ্লে, মেমোরি কার্ড, সেমিকন্ডাক্টর-সহ বেশ কিছু বৈদ্যুতিক পণ্যকেও নতুন শুল্কনীতির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এই পণ্যগুলোর বেশিরভাগেরই আমেরিকায় খুব বেশি উৎপাদনকেন্দ্র নেই।