ই-কমার্স সম্প্রসারণে ও নতুন উদ্ভাবনে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিয়ন্ত্রকের পাশাপাশি সহায়কের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ই-কমার্সকে টেকসই করতে অবশ্যই লজিস্টিক, পেমেন্ট এবং মানের দিকে নজর দিতে হবে।
রোববার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) আয়োজিত ‘রুরাল টু গ্লোবাল ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্স ২০২১’ শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় পলক বলেন, আমাদের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্টের বড় সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে যে রেগুলেটরের কাজ করছে, তার পাশাপাশি ফ্যাসিলেটরের ভূমিকা পালন করতে হবে। ফ্যাসিলেট না করলে নতুন উদ্ভাবন হয় না। নতুন উদ্ভাবন আসলে প্রয়োজনের তাগিদে সেগুলো রেগুলেট হয়ে যায়। পেপাল যখন আসলো তখন তার জন্য রেগুলেশন ছিল না। ধীরে ধীরে প্রয়োজন অনুযায়ী পলিসি নেয়া হয়।
দেশের ই-কমার্সকে টেকসই করতে হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নজর দিতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অ্যামাজন বা আলিবাবার মত মডেল এখানে কার্যকর হবে কী না জানি না। নতুন লজিস্টিক সেবা উদ্ভাবন করতে হবে। লজিস্টিকের ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে ডিজিটাল করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের উদ্যোগ নিলে তাকে উৎসাহিত করা হবে।
সম্মেলনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে শুধু যোগাযোগ আর নয়, এখন তথ্যপ্রযুক্তির মাধমে যে যোগাযোগ হয় সেটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে খাদ্য থেকে শুরু করে বিলাসী পণ্য সবকিছুতে ই-কমার্সের প্রতি ঝুঁকছি। প্রথমে স্বল্প পরিসরে হলেও বর্তমানে এক ধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিইউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট খরচ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। বিশ্বে ই-কমার্সে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭ তম। গত বছর দেশে ই-কমার্স লেনদেন হয়েছে ১.৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর ২ বিলিয়ন ডলার প্রত্যাশা করলেও বাস্তবে এটা আরো বেশি হবে। দেশে ১.৩ শতাংশ মানুষ ই-কমার্সে কেনাকাটা করে।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীন, বিএফটিআই এর প্রধান নির্বাহী ওবায়দুল আযম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর ফারাহ মো. নাসের, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী।