আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে ৫ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে। সাইক্লোন, লণ্ডভণ্ড, ১৫ নম্বর অফার সতর্ক সংকেত এমন নামে লোভনীয় অফার দিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে পণ্য দেয়না প্রতিষ্ঠানটি। নিরুপায় হয়ে এখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিদফতরে ১৩ হাজার ৩১৭টি অভিযোগ জমা হয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে ইভ্যালির বিরুদ্ধে। গত জুন পর্যন্ত চার হাজার ৯৩২টি অভিযোগ পড়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। গত জুলাইয়ে আরও পাঁচ শতাধিক অভিযোগ আসে। চলতি আগস্টেও অভিযোগ আসছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ইভ্যালির বিরুদ্ধে সাড়ে পাঁচ হাজারে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে।
অভিযোগ শুনানির কাজে নিয়োজিত অধিদফতরের প্রতিটি কর্মকর্তার রুমে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ফাইলের স্তূপ জমা পড়েছে। ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হওয়া ইভ্যালি লোভনীয় ডিসকাউন্ট কিংবা ক্যাশব্যাকের অফার দিয়ে অনলাইন ক্রেতার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন গ্রাহক ভোগান্তি ও সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ অগ্রিম টাকা নিলেও সময়মত পণ্য ডেলিভারি দেয়না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে (মার্চেন্ট) ভাউচারের বিপরীতে তাদের পাওনা পরিশোধ করেনা। আবার চেক দিলেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় সেই চেক ব্যাংকে জমা দিতে নিষেধ করছে ইভ্যালি। এমন হয়রানির শিকার হয়ে অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে।