ঢাকা     ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ১৩ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৪ দিনের তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ২৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৬:৫৭, ২৮ অক্টোবর ২০২১

ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৪ দিনের তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন

‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ স্লোগান নিয়ে আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হবে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) ২৫ তম আসর। দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে এই সম্মেলনের দেশীয় আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। অংশীদার হিসেবে আরো আছে বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক হিসেবে খ্যাত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে সম্মেলনে যুক্ত হওয়া যাবে। 'ডব্লিউসিআইটি ২০২১' সম্মেলনের একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১'।

৪ দিনের এ সম্মেলনে থাকছে মোট ৩০টি সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স, বিটুবি সেশন। ১১ নভেম্বর মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডব্লিউসিআইটি-২০২১ এর বিস্তারিত জানানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভার্চুয়ালে যুক্ত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর। এসময় ভার্চুয়ালে আরো যুক্ত ছিলেন, উইটসার সেক্রেটারি জেনারেল জেমস এইচ পয়সান্ট।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। ফলে এই ধরনের তথ্যপ্রযুক্তির আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ করতে যাচ্ছে। দেশে এই আয়োজন প্রমাণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আইসিটিকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি জানান, প্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত, ডব্লিউসিআইটি ২০২১ আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার আশা করছে এই সম্মেলনের মাধ্যমে এখাতে বাংলাদেশ অনেক ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডব্লিউসিআইটি ২০২১ উৎসবে প্রতিদিন সেমিনারের পাশাপাশি থাকছে বিশেষ আয়োজন। আয়াজনের প্রথম দিন থাকবে-‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইট’। এতে বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগতির সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

১২ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্য প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহিত উদ্যেগসমূহ উপস্থাপন করা হবে। এ দিন 'অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট' অনুষ্ঠানে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।

১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, অর্জন-গৌরবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। একই দিনে 'উইটসা আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড নাইট' অনুষ্ঠানে বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে। ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে ডব্লিউসিআইটি এর রজত জয়ন্তী উদযাপিত হবে।

প্রদর্শনী উপভোগ করার জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর ও আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে wcit2021 নামের অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে। তবে ব্যবহারের পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এছাড়াও www.wcit2021.com.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও প্রদর্শনী ঘুরে আসা যাবে। ফিজিক্যাল এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-সহ ডব্লিউসিআইটি সম্মেলনের যাবতীয় তথ্য www.wcit2021.org.bd ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে।