ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

‘বিজয়ের মাসে ৫জি যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ’

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ১ ডিসেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৭:১৭, ২ ডিসেম্বর ২০২১

‘বিজয়ের মাসে ৫জি যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ’

বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ৫জি যুগে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘৫জি: দ্যা ফ্রান্টিয়ার টেকনোলজি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে ৫জি প্রযুক্তির সেবা পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করবেন। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালুর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালে ঘোষিত বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সর্বাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি সেবা ৫জি চালু করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রাথমিক পর্যায়ে বর্তমান ৪জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগস্থাপন করে সীমিত পরিসরে আগামী ডিসেম্বর মাসে ৫জি চালু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রথমে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি কার্যালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে ৫জি সেবা চালু হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই সেবা দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও শিল্প প্রতিষ্ঠাননির্ভর এলাকাসমূহে বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকের মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকার ও এন্টারপ্রাইজ এবং ইউটিলি সার্ভিস প্রোভাইডাররা আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। মুজিববর্ষে এটি একটি বিশাল উদ্যোগ। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগত মানের ভয়েস কল ও ৪জি থেকে ২০ গুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫জির মাধ্যমে চালকবিহীন গাড়ি চলবে রাস্তায়। ৫জি চালু হলে কল ড্রপের সংখ্যা কমে যাবে বলে আমরা আশা করি। মানুষ ও ডিভাইসের মধ্যে তৈরি হবে জিরো ডিসটেন্স কানেক্টিভিটি। বিগডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে ৫জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ৫জি চালু হলে আমূল পরিবর্তন আসবে চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিংবা অগমেন্টেড রিয়েলিটির এক্সপেরিয়েন্স নেওয়া ৫জির কল্যাণে আরও সহজ হয়ে যাবে। ফেসবুকসহ বিশ্বের সব বড় কোম্পানিগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং মেটাভার্স নিয়ে কাজ করছে যা হবে অদূর ভবিষ্যতের মূল নিয়ামক প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তিগুলোই আমাদের তরুণদের কাছে পৌঁছে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার লক্ষে ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার সরকার ৩জি প্রযুক্তির সেবা চালু করে এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোরজি সেবা চালু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা মুজিববর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছি ৫জি যুগে। ২০২০ সালে করোনাকালে সারাদেশ লকডাউনে ছিল, থ্রিজি/ফোরজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছাত্ররা অনলাইনে ক্লাস করেছে, চিকিৎসক ঘরে বসে চিকিৎসা দিতে পারছেন, বিচার বিভাগ অনলাইনে তাদের বিচার কাজ চালিয়ে গেছেন।