স্মার্টফোন ব্যবহারে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও কেনিয়ার চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। তালিকায় সবচেয়ে নিচে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গী উগান্ডা ও ইথিওপিয়া।
বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী— বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে শুধু ইথিওপিয়া। উগান্ডাও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
বিশ্বের এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ১২টি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মানুষের ওপর চালানো সমীক্ষার তথ্যে এ প্রতিবেদন সাজিয়েছে জিএসএমএ। দেশগুলো হলো—মিশর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়েতেমালা ও মেক্সিকো।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের শহরে বসবাস করা ৪১ শতাংশ মানুষের হাতে স্মার্টফোন আছে। উগান্ডা ও ইথিওপিয়ায়ও শহরে বাংলাদেশের সমান ৪১ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনধারী।
তবে আগের বছরের চেয়ে গ্রামে স্মার্টফোনের মালিক কমেছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের গ্রামে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিলেন ২৭ শতাংশ মানুষ। ২০২৩ সালে এসে তা কমে ২৬ শতাংশে নেমেছে।
সমীক্ষা চালানো ১২টি দেশের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে মেক্সিকো। দেশটির শহরের ৭১ শতাংশ এবং গ্রামের ৬১ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনধারী। এরপর সমান ৬৮ শতাংশ (শহর) স্মার্টফোন ব্যবহার করা দেশগুলো হলো—মিশর, গুয়েতেমালা ও ইন্দোনেশিয়া।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শহরে স্মার্টফোনধারী ৫২ শতাংশ এবং গ্রামে ৪০ শতাংশ। আর পাকিস্তানে শহরে ৪৬ শতাংশ এবং গ্রামে ৩৬ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন।