বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনটেলিজেন্ট ক্লাসরুম চালু, আইসিটি ডিভিশনের সাথে জয়েন্ট ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন এবং দেশের অর্থনৈতিক খাতের পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ, গবেষণা কর্মী, ও শিক্ষকদের জন্য ‘চীন-বাংলাদেশ ফিনটেক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের’ সূচনা।
ঢাকার গুলশানে হুয়াওয়ের নতুন অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগসমূহের ঘোষণা দেয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর; বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী; ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি, টিই (অব.); আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পিএইচডি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ একটি অংশ ছিলো ‘বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি রিসার্চ রিপোর্ট’-এর উন্মোচন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও চায়না অ্যাকাডেমি অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস্ টেকনোলজি (সিএআইসিটি) যৌথভাব রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে। এসময় চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস্ টেকনোলজি (সিএআইসিটি)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ঝিকিন ভার্চুয়ালি উন্মোচনে যোগদান করেন। বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ডের উন্নয়ন নিয়ে এই রিপোর্টে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বিশ্বের শীর্ষ আইসিটি অবকাঠামো প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে গত ২৬ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে ২জি থেকে শুরু করে ৫জিতে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল কমিউনিকেশন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আমি আনন্দিত।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, বাংলাদেশে হুয়াওয়ের পথ চলা একটি অনন্য উদ্ভাবনের যাত্রা। আমরা বাংলাদেশি জনগণের সঙ্গে একসাথে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করেছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছি। এই নতুন অফিস উদ্বোধন দক্ষিণ এশিয়ায় হুয়াওয়ের যাত্রার নতুন এক সূচনা। আমরা আরও দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাবো, আরও বেশি বিনিয়োগ করবো এবং উদ্ভাবন চালিয়ে যাবো, যাতে এর মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক রূপান্তর ও টেকসই উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী অবদান রাখতে পারি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যাত্রায় বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই দেশের প্রতি হুয়াওয়ের অবিচল প্রতিশ্রুতি তাদের বড় পরিসরের বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, পরামর্শ ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের টেলিযোগাযোগ খাতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।