ঢাকা     ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  ২ পৌষ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

গ্রামে যাবে টেলিটকের ৫জি, খরচ ২২শ’ কোটি টাকা

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১০ আগস্ট ২০২১

গ্রামে যাবে টেলিটকের ৫জি, খরচ ২২শ’ কোটি টাকা

প্রতিটি গ্রামে আধুনিক প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টিবিএল)।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকল্পটি অনুমোদনের পর চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টেলিটক।
 
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

টেলিটকের আধুনিকায়নসহ মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক সভায়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

চারটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক প্রযুক্তির সেবার আওতায় আনা, দেশের প্রতিটি তরুণকে প্রযুক্তি জ্ঞান দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, প্রতিটি সেবাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করা।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়ে নিশ্চিত করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। প্রকল্পটির মূল কার্যক্রম হচ্ছে- ৯ হাজার ৪১০ সেট টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম কেনা, তিন হাজার বিটিএস সাইট নির্মাণ, ট্রান্সমিশন হাবের জন্য ১০০ সাইট প্রস্তুতকরণ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কেনা, কাস্টমার কেয়ার ও আসবাবপত্র কেনা।